ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান মন্ত্রীর শোক প্রকাশ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে । সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। একই সঙ্গে সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবেও তাঁকে সম্মান জানানো হবে।
তবে তাকে সমাহিত করা হবে, নাকি দেহদান করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। পরিবারের সদস্যরা বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আলতাফুন্নেসা।
তিনি জানান, শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পর দিন ১৪ এপ্রিল শুক্রবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল ১০টায় তার মরদেহ নেওয়া হবে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। জুমার নামাজ শেষে সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা বুধবারই বৈঠকে বসবেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে, তাকে সমাহিত করা হবে, নাকি দেহদান করা হবে।
তিনি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীরা ১০ ভাইবোন, তার স্ত্রী-সন্তান আছে। একজন বাদে তাদের সবাই ঢাকায় অবস্থান করছেন। দেহদানের বিষয়টি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত। তারা আজকের মধ্যে বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে আশা করছি। আগামীকাল জানাজার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
তবে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ছোটবোন আলেয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত জানি পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য মরদেহ দান করার পক্ষে। তিনি কয়েকবার বলেছেন, দেহদান করতে। আমরা তার কথার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।